ডিসেম্বর,১১,২০২২
মুকবুল হোসেন,গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা বাউশিয়া ইউনিয়নে প্রায় ৩শত বিঘা ৩ ফসলী জমি শীতকালীন রবি শশ্য চাষ অযোগ্য হওয়ার প্রধান প্রতিবন্ধকতায় কাজ করছে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা টাওয়ার শিল্প কারখানা । সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না , বাস্তবায়নে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন ।
জানা যায় গত ২১ নভেম্বর ২০২২ সোমবার মুন্সিগঞ্জের বহুল প্রচারিত একটি দৈনিক পত্রিকায় “পানি নিষ্কাশন অভাবে গজারিয়ায় ৩শত বিঘা ফসলি জমি রবি শস্য চাষে অযোগ্য, শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয় । বিশেষজ্ঞদের মতামতে আগামী ২০২৩ সালে বিশ্বের ৪০ টির অধিক দেশ খাদ্য সংকটে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন দেশবাসী। খাদ্য সংকট তালিকাভুক্ত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম রয়েছে।
খাদ্য ঘাটতি পূরণে চাষাবাদ যোগ্য জমিতে ফসল উৎপাদনে যথাযথ ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । সরজমিনে দেখা যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন বাউশিয়া ইউনিয়নে লক্ষীপুরা ও মধ্য বাউশিয়া মৌজায় অবস্থিত টায়ার শিল্প কারখানা এর বিপরীত পাশে বিশাল এলাকার ফসলি জমি পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে । সরকারি খাস জাগা ভরাট করে নামবিহীন নির্মিত একটি টায়ার শিল্প কারখানার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগ ।
স্থানীয় এলাকাবাসী কৃষকদের অভিযোগ শিল্প কারখানার কর্তৃক খাস জাগা দখল করে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়েছে।
শিল্প কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা রায়হান আলমকে একাধিকবার জিজ্ঞাসা বাদে , তিনি সংবাদ কর্মীদের জানান শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে স্থানীয় প্রতিনিধি আব্দুল মালেক সাহেবের উপস্থিতিতে পরে জানানো হবে ।
স্থানীয় এলাকাবাসী কৃষকদের অভিযোগ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন টায়ার ফ্যাক্টরির সীমানা প্রাচীর ঘেসে একটি ছোট ব্রিজ কালভার্ট রয়েছে। কালভার্ট বরাবর টায়ার ফ্যাক্টরি নির্মানাধীন শিল্প কারখানার ভিতর দিয়ে খাস জমি দখল করে নিয়েছে বলেই পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি পাইপ রেখেছেন। এখনো স্বল্প পরিমাণে পানি নিষ্কাশন হয় ।
কোম্পানির প্রতিনিধি আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের জানান এইখানে কোন সরকারি খাস জায়গা নেই। পূর্বে সরকার কর্তৃক প্রত্যয়ন করা হয়েছে। কাগজপত্র প্রধান কার্যালয়ে জমা আছে। এই অফিসে জমা নেই বলে দেখানো যাবে না । আব্দুল মালেক সংবাদ কর্মীদের জানান প্রশাসনিক কর্মকর্তা রায়হান আলম অফিসে আছেন। অফিসে গিয়ে উনার মতামত নিতে পারেন ।
এইদিকে রবিবার দুপুরের পর শিল্প কারখানার প্রবেশ গেটে সাংবাদিকদেরকে নিরাপত্তা কর্মী মাধ্যমে জানানো হয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয়ে কাজ করছেন । এই অফিসে কোন অফিসার নেই।
গজারিয়া সহকারী ভূমি অফিস সার্ভেয়ার মনির হোসেন জানান পত্রিকায় সংবাদপ্রকাশের পর এসিল্যান্ড মহোদয় স্যার সরেজমিনে পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন । স্বল্প সময়ের মধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেয়া হবে ।
www.bbcsangbad24.com