নভেম্বর,২০,২০২২
আল-আমিন, নীলফামারী:
সিংহভাগ আগাম আলু উৎপাদনে সূতিকাগার খ্যাত নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা । আর এ উপজেলার কৃষক চড়া আলুর বাজারে আগাম নতুন আলুর সু-খবর এনেছেন। বাজারে চাহিদা এবং দাম বেশি থাকায় আগেভাগে উচুঁ সমতলভূমির মাঠে মাঠে আগাম আলু তোলার উৎসবে মেতে উঠেছেন কৃষক। ফলে আলু উত্তোলনকে ঘিরে কৃষক-ক্ষেত মজুর ব্যস্ত সময় পার করছেন।ভাগ্য পরিবর্তনের সোনার মোহরখ্যাত নতুন আলুর ফলন, বাজার দর বেশি পাওয়ায় চাষিদে মাঝে বইছে আনন্দের বন্যা। জানা যায়, প্রতি বছর এ উপজেলার ক্ষুদ্র-প্রান্তিক কৃষক আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ বুনেন।বর্তমানে সেই ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ক্ষেতের আলু ক্ষেতে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে। চলতি বছর ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে মঙ্গলবার দেখা যায়,আলুর মাঠে কেউ মাটি খুড়ছে,কেউ কুড়াচ্ছে। কেউ ঠেসে ঠেসে বস্তা ভরছে। কোথাও আবার ডিজিটাল মিটারে চলছে ওজন।ক্ষেতের মাঝে ভর্তি হচ্ছে ভ্যান.ট্রলি, ট্রাক। ক্ষেতের মধ্যে আলু তোলার এমন দৃশ্য উপজেলার বিস্তৃণ মাঠ জুড়ে।বাহাগিলী ইউনিয়নের উঃ দুরাকুটি হাড়িবেচা পাড়া গ্রামের জামেনুর রহমান সাড়ে তিন(দোন) বিঘা ও একই এলাকার তাঁতিপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান ১ বিঘা, তার ছেলে আব্দুর বারেক ৫ বিঘা, আব্দুর আজিজ সাড়ে চার বিঘা জমিতে আগাম আলু উত্তোলন করছেন। কৃষক জামেনুর বলেন, বরাবরের মত চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরে বুননকৃত ৪ বিঘা জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফলনযোগ্য আগাম আলু উত্তোলন করছি। জমিতে নারী-পুরুষ মিলে ৩৫জন শ্রমিক কাজ করছে। যা ৪ বিঘা জমিতে ৩৫ বস্তা আলু হবে। আগাম হিসেবে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি খরচ ছাড়াই ক্ষেতের আলু ক্ষেতে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম। ওই পরিমান জমিতে খরচ হয়েছে ৭৫ হাজার টাকা।যা বিক্রি করে প্রায় লাখ টাকা লাভের আশা করা হচ্ছে।কৃষক আব্দুর রহমান জানান, আগাম আলু চাষ করে ভাল লাভবান হই। এ বছরো উর্দ্ধমূখী দামের আশায় আগাম আমন ধান কাটামাড়াই করে সেই জমিতে আমি নিজে ও ছেলেসহ সাড়ে দশ বিঘা জমিতে আগেভাগে আগাম আলুর বীজ রোপণ করেছি। ৯০থেকে ১০০ বস্তা আলুর আশা করা হচ্ছে। জমিতে ৬১ টাকা কেজি দরে আলু ব্যবসায়ী নিকট বিক্রি করা হল। যা খরচ বাদে দিগুন লাভের আশা করা হচ্ছে।ব্যবসায়ীরা মাঠ থেকে আলু কিনে নিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে সরবরাহ করছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন,বাজারে নতুন আলু উঠতে শুরু হয়েছে।চলতি বছর অনূকুল আবহাওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন ও চড়া দাম পেয়ে কৃষক পরিবারে সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। আগাম আলু আগাম ধান চাষ করে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনছেন।
www.bbcsangbad24.com