দেশ ও মানুষের কথা বলে

[vc_row][vc_column]

[/vc_column][/vc_row]

নীলফামারীতে ক্লুলেস ডাকাতি ঘটনার রহস্য ৬ দিনেই উদঘাটন মালামাল উদ্ধার ৩ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতারে পুলিশ সুপারের প্রেস ব্রিফিং

মে,০৯,২০২৩

আল-আমিন,নীলফামারী॥

নীলফামারীর ডোমারে ৬ দিনের মাথায় ক্লুলেস ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও ডাকাত চক্রের তিন জন কুখ্যাত ডাকাতকে গ্রেফতার করায় প্রেস ব্রিফিং হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ মে/২৩) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আমিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নীলফামারী সদর ও জলঢাকা সার্কেল (পিপিএম সেবা) মোঃ মোস্তফা মঞ্জুর, সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবীশ) জয়ন্ত কুমার সেন,সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুক্তারুল আলমসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, গত পহেলা মে জেলার ডোমার উপজেলার ছোট রাউতা এলাকার ব্রাহ্মন পাড়া এলাকার পুরহিত শ্রী বিজয় চক্রবর্তীর বাড়ির দরজা ভেঙ্গে তার স্ত্রী, কন্যা ও ছেলেকে ছোড়া দিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে তাদের জিম্মি করে। আলমারি ভেঙ্গে নগদ ১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা সহ ২ ভরি ২ আনা স্বর্নালংকার, ৪ ভরি রুপার অলংকার, ৩টি কাসার প্লেট, চারটি কাসার বাটি, ৪ টি গ্লাস, ৫ টি মোবাইল সহ আনুমানিক ২ লক্ষ ৯২ হাজার টাকার মালামাল লুন্ঠন করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। গত ৭ই মে অভিযান পরিচালনা করে সদর উপজেলার সিংদই বেড়াডাঙ্গা জেলেপাড়া এলাকার ডাকাতি ঘটনার সাথে জড়িত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের কুখ্যাত সদস্য শ্রী রবি চন্দ্র দাসের ছেলে শ্রী অনিল চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে নীলফামারী সহ অন্যান্য জেলায় আরো চারটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। ওই দিনেই ডোমার থানার ছোট রাউতা এলাকার মৃত কালী দাসের ছেলে রঙ্গিয়া দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি নিজে ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার স্বপক্ষে এবং ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী বিজ্ঞ আদালতে প্রদান করেন। বর্তমানে সে জেল হাজতে আছে। পরেরদিন সৈয়দপুর উপজেলার নজু মামুদকে গ্রেফাতার করা হয়। তার নিকট হতেও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়।
অপরদিকে নীলফামারী সদর উপজেলার এক ব্যবসায়ীর হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ২ লক্ষ টাকা সদর থানার সার্কেল মোঃ মোস্তফা মঞ্জুর ও অফিসার ইনচার্জ মুক্তারুল আলম তিন ঘন্টার মধ্যে ওই টাকাউদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃত টাকা প্রেসব্রিফিং শেষে ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দেন জেলা পুলিশ সুপার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.