বুধবার (১৬ মার্চ) বাংলাদেশ সফররত সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সাউদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এর আগে রাজধানীর একটি হোটেলে বেলা ১১টার দিকে বৈঠকে বসেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশি হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ার জটিলতা এড়াতে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
এতদিন বাংলাদেশ থেকে হজ করতে যাওয়া মুসল্লিদের বিমানবন্দর থেকে কেবল বর্হিগমন সিল সংযুক্ত করে দেওয়া হতো। কিন্তু ইমিগ্রেশনের বাকি প্রক্রিয়া সৌদি আরব পৌঁছে বিমানবন্দরে সম্পন্ন করতে হতো। এতে যেমন সময়ের প্রয়োজন হতো, তেমনি হাজীদের বেশ জটিলতা ও দুর্ভোগ পোহাতে হতো।
ইমিগ্রেশনের জটিলতা এড়িয়ে মুসিল্লারা যেন আরও স্বাচ্ছন্দ্যে হজ পালন করতে পারেন সেজন্য বাংলাদেশে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে সম্মত হয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জানা গেছে, হজ যাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনে সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তার বাংলাদেশি বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকতে পারেন।
ড. মোমেন বলেন, হজে যারা যাবেন, তারা যেন এ দেশে সহজে ভিসা করে যেতে পারেন সে বিষয়ে আমরা বলেছি, যেন হয়রানি কম হয় তাদের। এ বিষয়ে সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, শতভাগ ভিসা ক্লিয়ারেন্স যেন বাংলাদেশে হয়, সেজন্য তারা সহযোগিতা করবেন। সব কার্যক্রম এখানে হলে কোনো হয়রানি হবে না। এতে আমাদের হাজিরা খুব খুশি হবে।
বৈঠকে অন্য বিষয়ে আলোচনার প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য সৌদি আরবের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। সৌদি আরব ৫০ বিলিয়ন বৃক্ষরোপনের উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা এ উদ্যোগে সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছি।
মোমেন বলেন, প্রতি বছর ২৬৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেয় সৌদি আরব। তবে মাত্র ৮০ জন শিক্ষার্থী যায়। কোটা কেন পূরণ হয় না? এ বিষয়ে আমরা আলাপ করেছি।
www.bbcsangbad24.com