দেশ ও মানুষের কথা বলে

[vc_row][vc_column]

[/vc_column][/vc_row]

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার মাদক ও জুয়ার অভ‌য় সম্রাজ্য

মার্চ,৩০,২০২২

লাইলি রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে:

অনিয়ম ও দুর্নীতির আস্তানায় পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগার । সিন্ডিকেটে চলে মাদকের রমরমা বাণিজ্য । কারাভ্যন্তরে যদিও নগর টাকা নিষিদ্ধ তবুও নগদে বিক্রি হয় ইয়াবা , ঘুমের ঔষধ , ও গাজা । নগদে যার বিনিময় মূল্য প্রতি পিস ইয়াবা পাঁচশত টাকা , ডিসোপ্যান এক পিস দুইশত টাকা , গাজা এক বিড়ি একশত টাকা ও এক পুরিয়া পাঁচশত টাকা ।

সিন্ডিকেটের প্রধান জেলার মোঃ দিদারুল আলম এর অধীনে আছেন ডিপটি রেজাউল করিম , তার নিজস্ব ব্যক্তিগত ড্রাইভার তাহের , ওস্তাদ জাহাঙ্গীর , সঞ্জয় কর , কারারক্ষী শাহ জামাল , বড় জুয়েল ‌‌প্রকাশের জুয়েল , আশিক , গেইট কারারক্ষী ইসমাইল , আইজি সিআইডি মনির , রুস্তম , জাহের ও শফিউল্লাহ । জানা যায় জেলার সাব নিজের ব্যক্তিগত এবং বিশ্বাসযোগ্য স্থানে তাদের দিয়ে সকল কাজ করিয়ে থাকেন । এবং নিয়ম লঙ্ঘন করে তাদেরকে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন বড় বড় কাজ দিয়ে থাকেন ।

আর বিক্রয় ডিলার কয়েদি ছোট আক্তার , বোবা কবীর , সবুর , কয়েদি সিআইডি সাগর । হাজতী মেহেদী মোশারফ , কানকাটা আলামিন এর সহযোগিতায় চলে মাদকের রমরমা বাণিজ্য ।

বাহিরে বাজার এক কেজি গাঁজা সাত হাজার টাকা । যা জেলখানায় দুই লক্ষ টাকার অধিক । তাই কারা কর্তৃপক্ষের ভিতরে একটি প্রতিযোগিতা চলে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য । অনেক কারারক্ষীরা বদলি হওয়ার পরও এই কারাগারে আবার বদলি হয়ে আসেন মাদক ব্যবসা করার জন্য । বছরের পর বছর গেলেও অনেক কারারক্ষী একই স্থানে বহাল তবিয়তে আছেন অনেক দিন ধরে ।

বাবা-মা তাদেরকে কূ পুত্রকে সংশোধনের জন্য সেইভ হোম হিসেবে কারাগারে প্রেরণ করেন । কিন্তু তারা জানেন না ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারের এখন মাদক ও জোয়ার অভয় সাম্রাজ্য হিসেবে গড়ে উঠেছে । প্রতিমাসে সালামি দিয়ে চলে মাদক ও জুয়ার আসর । আর যারা সালামি দিতে পারে না তাদের কেইস টেবিল নামক বিচারালয়ে এনে বিচার করা হয় । গত ৫/২/২২ ইং তারিখে ওয়ার্ড তল্লাশিতে গাঁজা পাওয়া যায় । সে তল্লাশিতে ছোট আক্তার , বোবা কবিরকে অভিযুক্ত করা হয় । কিন্তু দায়সারা বিচারে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয় ।

জেল কর্তৃপক্ষ মাদকের বিরুদ্ধে মাঝে মধ্যে ওয়ার্ড তল্লাশি দিয়ে থাকেন । কিন্তু তল্লাশির আগেই খবর পৌঁছে যায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে । এবং তল্লাশির নামে জিনিসপত্র লুটপাটের অভিযোগ থাকে অনেক হাজতি বন্দীদের । বন্দীদের মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করার অভিযোগও ওঠে অনেক কারারক্ষীদের বিরুদ্ধে । যার কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ইনচার্জ বলেন মাদকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ জেলার স্যারের কাছে বললে ও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না ।

এ ব্যাপারে জেলা সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন এর সাথে ফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হল ও কথা বলা সম্ভব হয়নি । (চলমান)

www.bbcsangbad.24.com

Leave A Reply

Your email address will not be published.