এপ্রিল,০৭,২০২২
আরিফ হোসেন,(শ্রীনগর) মুন্সীগঞ্জ:
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক ইউনিয়নেই ভড়াট হচ্ছে প্রায় শতাধিক কৃষি জমি ও জলাশয়। এই ভড়াট কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে অর্ধ ডজন অবৈধ ড্রেজার ও ড্রাম ট্রাক সিন্ডিকেট। অবৈধ এই বানিজ্যের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ইউনিয়টিতে প্রায়ই মারামারি সহ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।
শ্রীনগর উপজেলার কোলাপাড়া ইউনিয়নের ব্রা²ন পাইকসা,দক্ষিন পাইকসা,কোলাপাড়া,কেয়টচিড়া,ডাক্তার বাড়ি, উত্তর কোলাপাড়া,গাবতলা,দোগাছি সহ বেশ কয়েকটি স্থানে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন মৌজায় প্রায় শতাধিক কৃষি জমিতে বালু ভড়াটের জন্য পকেট করে রাখা হয়েছে। বেশ কিছু জমি ইতি মধ্যে ভড়াট করা হয়েছে। বাকিগুলোতে ড্রেজারের পাইপ স্থাপনের কাজ চলছে। পকেট করা এসব জমির বেশীর ভাগই ধানী জমি। এগুলোতে এবছরও ধান রোপন করা হয়েছেল। জলাশয়গুলো কেন ভড়াট করা হচ্ছে তা বলতে পারছেন না ড্রেজারে নিযুক্ত শ্রমিকরা।
বুধবার সরজমিনে কোলাপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পট ঘুরে দেখা গেছে ৬টি ড্রেজারের মাধ্যমে কাজ চলছে। এর মধ্যে পদ্মানদী থেকে আনা হয়েছে বেশ কয়েকটি ড্রেজারের লাইন। এছাড়া ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের কেয়টচিড়া ব্রিজের ঢালে ড্রাম ট্রাক দিয়ে বালু এনে তা ড্রেজারের মাধ্যমে টেনে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, এসব ড্রেজার ও ড্রাম ট্রাক পরিচালনা করছে কোলাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সোহেল মেম্বার, মাহবুব শাহ,যুবলীগ নেতা শামীম,মুনসুরুল হাসান কুতুব, স্বপন, রাজিব,ওহাব দেওয়ান সহ বেশ কয়েকজন।
গত ১ মাসে শ্রীনগর উপজেলা প্রশাসন ৩ বার এই ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ ড্রেজারের পাইপ ভেঙ্গে দেয়। তারপরও অবৈধ ভাবে কৃষি জমি ও জলাশয় ভড়াট থামানো যাচ্ছে না।
সোহেল মেম্বার বলেন, অনেক দিন ধরে ওহাব দেওয়ান ড্রেজার চালাচ্ছে। আমারটা কয়েকদিন ধরে চালু করেছি। অপর ড্রেজার মালিক রাজিব বলেন, আমি একা নই অনেকেই এই ব্যবসা করছে।
মোঃ শামীম জানান, ড্রেজারের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। এই বিষয়ে মুনসুরুল হাসান কুতুবের সাথে কথা বলেন।
শ্রীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণব কুমার ঘোষ বলেন, কৃষি জমি কমে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন ব্যহত হবে। তাছাড়া জমির শ্রেণী পরিবর্তন করে ঢালাও ভাবে কৃষি জমি ও জলাশয় ভড়াট করা চরম অন্যায়। এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
www.bbcsangbad24.com