ডিসেম্বর,১১,২০২২
বিবিসি সংবাদ ডেস্ক:
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিলো পুলিশের। জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও নৌ পথে ৬টি স্তরে ৮৪টি পয়েন্টে ৯ শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এছাড়া আ.লীগের নেতার্মীদের পুলিশের পাশাপাশি সড়কের ভিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান ছিলো।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ,লৌহজং, শ্রীনগর, সিরাজদিখান, টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক্সপ্রেসওয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়ে নিয়মিত গাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ।
জেলা সদরসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ সড়ক এবং নৌপথে পুলিশ মোতায়েনসহ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। কাউকে সন্দেহজনক মনে হলেই সেসব চেকপোস্টে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছরে জেলায় এরকম পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। শহরের অলিগলিতে এত পুলিশ দেখাযায়নি। বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্রকরে পুরো জেলাজুড়ে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা ছিলো। পুলিশের পাশাপাশি আ.লীগের নেতাকর্মীরাও জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
মাঝেমধ্যে পুলিশের গাড়ি সাইরেন বাজিয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করছে। পুলিশ সুত্রে জানাযায়, জেলার নিরাপত্তায় ৯ শতাধিক পুলিশ নিয়োজিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪শত পুলিশ জেলার অন্য জেলা থেকে আনা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান বলেন, গতকাল সকাল থেকে মুক্তারপুর বাস স্ট্যান্ড পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুষ্কৃতিকারীরা যেন বিস্ফোরক বহন করতে না পারে সেজন্য তারা তৎপর ছিলো। একর্মসূচী মাসব্যাপী চলমান থাকবে।
মুন্সীগঞ্জ জলা পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল-মামুন আমার সংবাদকে জানান, বিজয় দিবস ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে সামনে রেখে ৩২ জেলার ঢাকায় প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের সকল সড়ক ও নৌ পথে ৬টি স্তরে ৮৪টি পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব জায়গায় সাধারণ মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারে সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে। কারো স্বাভাবিক চলাচলে বাঁধা দেয়া হচ্ছে না।
www.bbcsangbad24.com