জুলাই,০১‘,২০২২
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জে এক গৃহবধু তার কাবিননামা চাইতে কাজি অফিসে গেলে ওই অফিসের কাজির সহকারী আ. রশিদ ওই গৃহিনীকে কাজি অফিস হতে বের করে দিয়ে অফিসের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী গৃহবধু সুমাইয়া আক্তার বলেন, গত ৩ দিন ধরে আমি মুন্সীগঞ্জের পঞ্চসার কাজি অফিসে একাধিকবার আমার কাবিননামা চাইতে গেলেও কাজি আমার স্বামীর পরিচিত হওয়ায় তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমকে আমার বিয়ের কাবিন নামা দিচ্ছেনা। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আমি আমার কাবিননামা তুলতে পূনরায় কাজি অফিসে যাই। এ সময় ওই অফিসের কাজি আ. রশিদ আমাকে কাজি অফিস হতে বের করে দিয়ে অফিসের গেইটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী গৃহবধু সুমাইয়া আক্তার আরো বলেন, সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের বাগবাড়ি গ্রামের মৃত জব্বার খানের ছেলে হানিফ খান খোকনের সাথে আমার গত ১৫ ফেব্রæয়ার ২০২১ সালে বিয়ে হয়। বর্তমানে আমি ৭ মাসের অন্তস্বত্ত¡া। আমার স্বামী অবৈধ কারেন্ট জালের ব্যবসা করে । কিছুদিন আগে পুলিশ আমার স্বামীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল ও মেশিন নিয়ে যায় এবং আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়। পরে আমার স্বামী জেল খেটে বের হয়ে আমার কাছে তার ব্যবসা পূনরায় শুরু করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক চায়। আমি যৌতুক দিতে না পারায় গত ২৭শে মে ২০২২ইং সে এবং তার ভাই স্বপন আমাকে মেরেধোর করে বাড়ি হতে তারিয়ে দেয়।
আমি এখোন আমার গর্ভে ৭ মাসের বাচ্চা নিয়ে মায়ের বাড়িতে অসহায় অবস্থায় দিনযাপন করতেছি। আমি আমার ব্যাক্তিগত কারনে আমার বিয়ের কাবিননামা তুলতে পঞ্চসার কাজি অফিসে গত মঙ্গলবার থেকে যাচ্ছি। কাজি আমাকে প্রথমে কাবিননামা দিবে বললেও এখোন কাবিননামা দিচ্ছেনা। ৩ দিন যাবৎ ঘুরাইতেছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আমি কাজি অফিসে আমার কাবিননামা চাইতে গেলে ওই অফিসের কাজি আমাকে কাজি অফিস থেকে বের করে দিয়ে অফিসে তালা লাগিয়ে দেয় আর বলে তোমাকে কাবিননামা দেওয়া যাবেনা । যা পারো করোগা। ভক্তভোগী সুমাইয়া আক্তার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার নাজিমউদ্দিন বেপারীর মেয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মানিকপুর গ্রামের (সুমনের বাড়ির ভাড়াটিয়া)। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কাজীর সহকারী আ. রশিদ বলেন, আমাদের অফিসের মূল কাজি বিল্লাল হোসেন সাহেব সৌদি আরবে হজে গেছেন। তার অবর্তমানে অপর একজন ভারপ্রাপ্ত কাজি এবং আমি অফিস পরিচালনা করছি। আপনি কাবিন নিতে আসা ওই মহিলাকে আগামীকাল শুক্রবার পাঠিয়ে দিয়েন আমি কাবিননামা দিয়ে দিবো। ভারপ্রাপ্ত কাজির বিষয়ে জানতে চাইলে সে বিষয়টি এরিয়ে গিয়ে বলেন আপনি ওই মহিলাকে পাঠিয়ে দিয়েন আমি কাবিননামা দিয়ে দিবো।
এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার অফিসের জেলা রেজিষ্টারের প্রধান সহকারী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভূক্তভোগীকে আমাদের রেজিষ্টার অফিসের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করতে বলেন।
www.bbcsangbad24.com