সেপ্টেম্বর,১০ম২০২২
এস আর শাহ আলম,চাঁদপুর:
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশের ভরা মৌসুম এখন শেষের দিকে। এমন সময়ে সাধ থাকলেও ইলিশ কেনার সাধ্য নেই সাধারণ আয়ের মানুষের।
এ বছর সাগর থেকে ধরা ইলিশ সাইজে অন্য বছরের তুলনায় অনেক বড়। যার একেকটির দাম দেড়-দুই হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা। অর্থাৎ এক ইলিশের দাম দিয়ে কারো কারো পুরো মাসের মাছ, মুরগি ও সবজিসহ অন্যান্য খরচ মেটানো সম্ভব। বর্তমানে চাঁদপুরে ইলিশের পাইকারি ও খচুরা বাজারে এমন পরিস্থিতিই চলছে।
ইলিশের একমাএ পাইকারি বাজার চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে, বড় বড় ইলিশের স্তূপ। ছোট ইলিশে সংখ্যা খুবই কম। ৬০০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের কিছু ইলিশ আসছে মিনি ট্রাকে করে। এসব ইলিশ নোয়াখালীর হাতিয়া অঞ্চলের জেলেদের জালে ধরা,
মাছঘাটের কয়েকজন খুচরা ইলিশ বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন সাগরের ৬০০ গ্রামের ইলিশ প্রতি কেজি ৮০০ টাকা। এক কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৩০০ টাকায় এবং দেড় কেজি থেকে দুই কেজি ওজনের ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছারা বিভিন্না এলাকা থেকে আসা থেকে কয়েকজন ক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে ইলিশের দাম কম হবে মনে করে এসেছি আড়তে। কিন্তু ছোট সাইজের ইলিশের কেজিও ৮০০ টাকা। এতে করে আমাদের মত সাধারণ আয়ের মানুষের ইলিশ কেনা সম্ভব নয়।
কারণ ইলিশ কিনলে বাকি চাল ডাল কেনা সম্বভ হবে না। ইলিশ সাধের মাছ হলেও আমাদের কেনার সাধ্য নেই। একটি ইলিশ মাছের টাকা দিয়ে দু এক দিন সংসার চলবে।
এদিকে ঘাটে পাইকার ও খুচরা ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও অনেকেই দাম জেনে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু আড়তদাররা স্তূপ করা ইলিশ বিক্রি করছেন মহা আনন্দে। যদিও স্হাণীয় নদীর ইলিশ নেই তবুও সাগরের ইলিশে ঘাটের আড়তগুলো চলছে, তবে লালছে রংঙের ইলিশ দেখলে বোঝা যায় এটা সাগরের। আর সাগরের ইলিশ দিয়েই আরৎ সহ খুচরা বাজার চলছে এমনটাই বলেন জেলে নেতা তছলিম বেপারি। । অথচ ইলিশের ভরা মৌসুম চলে যাচ্ছে। তারপরেও পদ্মা-মেঘনায় রূপালি ইলিশের তেমন দেখা নেই। আর যতটুকু মিলছে , তাহা চাহিদার তুলনায় খুবই কম।
আবার স্হানীয় পাইকারি ব্যাবসায়িরা বলেন চলমান ভাদ্র মাস শেষের দিকে। নদীর পানি খুবই ঘোলা এবং নদীতে পানি না থাকায় স্রোতও কম ফলে ইলিশও নেই। তাছারা আগামি মাসটি আশ্বিন মাস, ওই মাসে ইলিশ প্রজনন, মা ইলিশ রক্ষায় সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে, তখন জেলেরা রূপালি ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকবে, প্রকৃত ভাবে ইলিশ কেনা বেঁচা আর খাওয়াটা এবছ আমাদের কাছে স্বপ্ন হিসেবেই থেকে যাবে। আর জেলেরা দার দেনাতেই জীবন যাপন করবে এমনটাই মনে করেন জেলার মানুষ।
www.bbcsangbad24.com