জুন ২,২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা সবসময় শান্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। কোন দেশের সঙ্গে কোন দেশের ঝগড়া সেটা আমার দেখার দরকার নেই। নিজের দেশের উন্নয়নটা আমার আগে দরকার। উন্নয়নে যারা সহযোগিতা করবে আমি তাদের নিয়েই চলবো। সেভাবে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
রবিবার (২ জুন) গণভবনে ‘আমার চোখে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথা বলেন।
১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণা করে শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে হত্যার পর, জার্মানিতে ৬ বছর নির্বাসনে থাকাকালীন জয়-পুতুল খুব দেশে আসতে চাইত৷ সারা দিন কান্নাকাটি করত৷ ইন্দিরা গান্ধীও অনেক চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমাদের দেশে আসতে দেওয়া হয়নি৷
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের মানুষ বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে, সেই জয় বাংলা স্লোগানটাও বাংলাদেশ থেকে মুছে ফেলা হয়। ৭ই মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে একশ্রেণির লোক আছে যারা বেশ জ্ঞানী-গুণী, কিন্তু তারা শুধু নিজেদের আরাম-আয়েশের দিকে বেশি তাকায়৷ তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ শক্তিশালী হবে, সিদ্ধান্ত নেবে, ক্ষমতাসীন হবে-এটা তারা মানতে পারে না, পছন্দ করে না।
তিনি বলেন, তারা সবসময় এটা অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে৷ আর তাদের সঙ্গে ইন্ধন জোগায় স্বাধীনতাবিরোধী দেশগুলো, যারা সেভেন ফ্লিট পাঠিয়েছিল। তাদের কাছে বাংলাদেশের বিজয় গ্রহণযোগ্য ছিল না।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেই স্যাটেলাইটের সমালোচনা করছেন। তারা আসলে কিছু ভালো না-লাগা গ্রুপ৷ আবার কিছু তৈরি হয়ে গেলে খুব মজা করে তারা ব্যবহার করেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, পাকিস্তান আমলে স্বামীর কর্মস্থল ইতালি যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে ভিসা পেতাম না৷ তারপর করাচি গিয়ে ভিসা করে যেতে হতো৷ এখান থেকে কোথাও যাওয়া যেত না। সবকিছুই হতো করাচিকেন্দ্রিক।
প্রতিযোগীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যতের জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। রেহানা ও আমি ছেলেমেয়েদের একটা জিনিস শিখিয়েছি যে, তোমাদের জন্য কোনো সম্পদ রেখে যেতে পারব না। তোমাদের একটাই সম্পদ, সেটা হলো শিক্ষা। এটা অর্জন করলে কেউ ছিনতাই-হাইজ্যাক করতে পারবে না। কেননা, জ্ঞান তো কেড়ে নেওয়া যায় না।
www.bbcsangbad24.com