তরমুজের পর এবার গরুর মাংস বয়কটের ডাক দেশের সাধারণ মানুষ

Estimated read time 1 min read

মার্চ ৩১,২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

রমজান মাসের শুরুতেই শুরু হয় রসালো ও সুস্বাদু ফল তরমুজের মৌসুম। সারাদিন রোজা থাকার পর রোজাদারদের ইফতারে ফলটির চাহিদা থাকে। আর এই সুযোগ নিয়ে হুহু করে দাম বাড়িয়ে পিস থেকে কেজিতে তরমুজ বিক্রি শুরু করে ব্যবসায়ীরা। ফলে সপরিবার খাওয়ার মতো একটি তরমুজের দাম পড়ে ৬০০-৮০০ টাকা। চলতি রমজানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক দেয় সাধারণ মানুষ। ফলে অর্ধেক দামে তরমুজ বিক্রি করলেও ক্রেতা পাচ্ছে না বিক্রেতারা।

তরমুজ বয়কটে এর দাম নিয়ে কারসাজি বন্ধ হওয়ায় এবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটিজেনরা। কারণ, রোজার শুরু থেকেই গরুর মাংসের দাম বেড়েই চলেছে। প্রথমদিকে গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি থাকলেও শুক্রবার (২৯ মার্চ) তা ৭৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অন্যদিকে, গত ১৫ মার্চ গরুর মাংসের দাম ৬৬৪ টাকা বেঁধে দিয়েছে সরকার। তাতে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ নেই গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের। এবার এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে ক্রেতারা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজে গরুর মাংস বয়কটের ডাক দিয়েছেন দেশের সাধারণ মানুষ। এছাড়া হাজার হাজার বাংলাদেশি ফেসবুক ব্যবহারকারী তাদের ফেসবুকের টাইমলাইনে কয়েকটি পোস্ট শেয়ার করছেন। যা রীতিমত ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া একটি পোস্ট হবহু তুলে ধরা হলো-

তরমুজের ভাব বেড়েছিল আমাদের আম জনতার বয়কটে তার দাম এখন হাতের নাগালে। এভাবে গরুর মাংসও খাওয়া বাদ দিন,বয়কট করুন ১ বা ২ বা ৩ মাস। দেখবেন, সেটাও হাতের নাগালে চলে আসবে। ক্রেতা না কিনলে দাম বাড়িয়ে কয়দিন কাটা গরুর মাংস রাখবে ফ্রিজে! কম দামে ক্রেতা না কিনলে কতদিন চড়া দাম হাকাবে! ক্রেতাই যদি না থাকে কিসের সিন্ডিকেট! আমরা সব চাইলেই পারি! লাগবে শুধু একতা! চলেন, তরমুজের পরে এবারে গরুর মাংসের দাম কমাই।

ভাইরাল হওয়া আরেকটি পোস্ট-

আমি গরুর মাংস কিনলাম। বলল যে, দেশের মানুষ ভাত পায়না, গরুর মাংস কেনে। গরুর মাংসের ম্যালা দাম, আসুন গরুর মাংস বয়কট করি।

এদিকে গরুর মাংসের দাম বাড়া নিয়ে খামারিদের দুষছেন মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, বড় খামারিদের কারসাজিতে বাজারে গরুর মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না । দুর্মূল্যের এ বাজারে স্বল্পমূল্যে যারাই গরুর মাংস বিক্রি করতে চাচ্ছেন, তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে খামারিদের অসাধু চক্র। একদিকে কোরবানিকে কেন্দ্র করে বাজার থেকে গরু উঠিয়ে নেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে হুমকি আর চাপ এসে হাজির হচ্ছে স্বল্পমূল্যের বিক্রেতাদের জীবনে। খামারিদের এই সিন্ডিকেট ভাঙা গেলে ৫০০ টাকায়ও গরুর মাংস কিনতে পারতো ক্রেতা সাধারণ; আবারও মাসে অন্তত একবার হলেও গরুর মাংসের স্বাদ নিতে পারতো মধ্যবিত্ত পরিবার।

এ বিষয়ে কম দামে গরুর মাংস বিক্রি করে আলোচনায় আসা ব্যবসায়ী খলিল বলেন, সরকার ভারতীয় গরু দেশে প্রবেশের অনুমতি দিলে মাংসের দাম ৫০০ টাকায় নেমে আসবে। অন্তত ১০ দিন ভারতীয় গরু দেশে আনা হলে গরুর মাংস ৫০০ টাকা বিক্রি করা সম্ভব।

www.bbcsangbad24.com

আরও দেখুন আমাদের সাথে......

More From Author