দেরিতে আসায় পরীক্ষা দিতে দেওয়া হলো না ৫ পরীক্ষার্থীকে

Estimated read time 1 min read

  মুন্সীগঞ্জে মাত্র কয়েক মিনিট দেড়িতে আশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় ৫ পরিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে।

মার্চ,৩০,২০২৪

তুষার আহাম্মেদ,মুন্সীগঞ্জ

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ৯টা ৩০মিনিটের দিকে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরিক্ষায় শুরু হয়। তবে সাড়ে ৯টার দিকে কেন্দ্রে থাকার কথা থাকলেও ৯টা ৩৫ মিনিটে উপস্থিত হওয়ায় প্রবেশাধিকার পাওয়া হয়নি প্রকাশ মন্ডল নামের এক পরিক্ষার্থী।এসময় বারবার চেষ্টা করে বিভিন্ন আকুতি করলেও গেট খোলা হয়নি।

এরপরওই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে সাজ্জাদ হোসেন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. সুমন, রনী ঘোষ পরিক্ষা কেন্দ্রে আসে। কিন্তু তাদেরও প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি।

এদিকে, পরিক্ষার্থীদের গেইটে বিভিন্ন আকুতি করতে দেখাযায়। এসময় পরিক্ষা দিতে না পেরে কান্নায় ভেঙে পরেন কেউ কেউ। পরিক্ষার্থীদের সাথে কয়েকজন অভিভাবকদেরও আকুতি করতে দেখা যায়।

পরিক্ষার্থী প্রকাশ মণ্ডল বলেন, রাস্তায় গাড়ির কারনে মাত্র পাঁচ মিনিট দেরিতে পৌছাই, আমাকে সুযোগটি দিতে পারতো। অনেকবার গেটে আকুতি করলেও কারো সাড়া পেলাম না। অনেক পরীক্ষার্থী কিছুটা দেড়িতে আশায় তাদের পরীক্ষা দেওয়া হলো না।

কান্না জরিত কন্ঠে পরিক্ষার্থী রনী ঘোষ বলেন এটি আমার চাকরি পাওয়ার শেষ বছর, তাই শেষ চেষ্টা করার জন্য এসেছিলাম। পথে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় আমার পাঁচ মিনিট দেরি হয়ে যায়। এজন্য আর পরীক্ষা হলে ঢুকতে পারলাম না। হয়তো পরীক্ষা দিতে পারলে উত্তীর্ণ হলে চাকরি করে পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারতাম। আরও কয়েকজন পরিক্ষার্থী জানান নানা কারনেই তাদের কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে এমন হবে জানলে আরও আগেই উপস্থিত হওয়ার কথা জানান তারা।

এ বিষয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসনেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (শিক্ষা শাখা ও আইসিটি শাখা) মুনতাসির মাহফুজ জানান, প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিলো সকাল ৮টা ৩০মিনিটে পরিক্ষার্থীদের আসন গ্রহন ও সকাল সাড়ে ৯টায় প্রবেশাধিকার বন্ধের। নির্দেশনা অনুযায় ৯টা ৩০মিনিটে গেইট বন্ধ করা হয়। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের শিক্ষক পদ একটি দায়িত্বশীল জায়গায়, যারা শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করবে তাদের সময়ের গুরুত্ব অনুধাবন করা উচিত। সময়মত কেন্দ্রে প্রবেশের বিষয়টিও একটি পরিক্ষা ছিলো। তাই বিশৃঙ্খলা এড়াতেই নির্ধারিত সময়ের পর কাউকে আর প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাযায়, এবার মুন্সীগঞ্জ জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ৬ হাজার ৫৭জন পরিক্ষার্থী ছিলো। শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত জেলার ৯ কেন্দ্রে লিখিত পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

www.bbcsangbad24.com

আরও দেখুন আমাদের সাথে......

More From Author