মতলবে প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত

Estimated read time 1 min read

জুন,২৭,২০২৪


নিজস্ব প্রতিবেদক


চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে সারাদেশের ন্যায় প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল, দুপুর, বিকেল এমনকি মধ্যরাতেও হচ্ছে লোডশেডিং। ফলে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে মানুষ। দৈনিক গড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে। অন্যান্য বছরের চেয়ে চলতি বছর গরমের তীব্রতা ক্রমশ বাড়ছে। গরম আর অসহনীয় তাপে যেন শরীর পুড়ে যাবার অবস্থা প্রায়। ফলে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন মানুষ। বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা তীব্র গরমে সীমাহীন কষ্ট পাচ্ছেন।


জানা যায়, বর্তমান তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও বাতাসের আর্দ্রতা কমে বাতাস শুষ্ক হয়ে যাওয়ার ফলে সূর্যের তাপ শরীর থেকে পানি শুষে নিচ্ছে। ফলে আমাদের ত্বক জ্বালাপোড়া করছে। এর মধ্যে সারা দেশেই গরমের সঙ্গে বাড়তি ভোগান্তির আরেক নাম লোডশেডিং। মতলব দক্ষিণের এলাকাভেদে প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আট ঘণ্টা করে লোডশেডিং হচ্ছে।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল বুধবার উপজেলার নারায়নপুর এলাকায় সকাল পৌনে ৮টা থেকে পৌনে ১০টা, দুপুর ১২টা থেকে সোয়া ১টা এবং সাড়ে ৫টা থেকে ৬টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মোট তিনবার লোডশেডিং দেওয়া হয়। আবার মধ্যরাতেও দেওয়া হচ্ছে লোডশেডিং। একই অবস্থা উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতেও।


এলাকায় লোডশেডিং চলাকালীন দেখা যায়, তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে নারী-পুরুষ এবং শিশুরা বাড়ির আঙ্গিনায়,ঘর থেকে বের হয়ে বাসার দরজার সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়েছে এবং হাত পাখা দিয়ে বাতাস করে কিছুটা স্বস্তির খোঁজ করছেন। তীব্র গরমে সর্বাধিক কষ্টের শিকার হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। গরমের তীব্রতা থেকে বাঁচতে তারা আশ্রয় নিচ্ছেন গাছের তলায় কিংবা ছায়াযুক্ত স্থানে।


লোডশেডিংয়ের বিষয়ে উপজেলার নারায়নপুর পৌরসভার সারপাড় গ্রামের জহির নামে একজন বলেন, এর আগে কোনদিন এমন কষ্ট হয়নি। রাতের বেলা বিদ্যুৎ চলে গেলে বাচ্চারা গরমে কান্না শুরু করে দেয়। বাচ্চাদের সারা শরীর ঘামে ভিজে যায়। এভাবেই প্রতিদিন চলছে। আমরাতো বিদ্যুতের টাকা বাকি রাখি না, তাহলে এই লোডশেডিংয়ের দায় কার?


নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরও একজন ভুক্তভোগী বলেন, প্রকৃতি এবং সরকার উভয়েই আমাদের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করছে। এই গরমে বেঁচে থাকাই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।


এ বিষয়ে মতলব পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসের ডিজিএম বলেন, বিদ্যুতের ঘাটতিজনিত কারণে এই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ। যেখানে সমগ্র উপজেলায় দৈনিক চাহিদা ৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, সেখানে আমরা চাহিদার মাত্র শতকরা ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ পাচ্ছি। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আর উৎপাদনের বিষয়ে বলতে পারবে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।


এদিকে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, তীব্র গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লেও জ্বালানি সংকটে বিদ্যুতকেন্দ্রগুলো সক্ষমতার চেয়ে কম বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে। ফলে দেশজুড়ে ব্যাপকভাবে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

www.bbcsangbad24.com

আরও দেখুন আমাদের সাথে......

More From Author