মে,০৯,২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা, পুলিশের উপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাত আরও ২০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সংশ্লিষ্ট থানায় বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন গজারিয়া থানায় কর্মরত পুলিশের উপ পরিদর্শক জাহিদ হাসান।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৮ মে) গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের সময় দুপুর দেড়টার দিকে কেন্দ্র দখলে নিয়ে একাধিক ব্যালট পেপারে সিল মারেন পরাজিত আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ব্যালটে মারার সিল লুট করে নিয়ে যায় তারা। পরে ওই কেন্দ্রে দুপুর ১টা ৫৫ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ রাখেন কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার। বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু করা হলে কেন্দ্রের বাইরে থাকা দেড়শ’ থেকে দুইশ’ কর্মী-সমর্থক জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ বদিউজ্জামানের উপর হামলা করেন। ভাঙচুর করা হয় তার ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি। হামলা ঠেকাতে গিয়ে ইট-পাটকেলের আঘাতে আহত হন পুলিশের দুই সদস্য সাদ্দাম (২৪) ও সোহাগ (২৫)।
ঘটনা শুনে কেন্দ্রের ভেতরে থাকা পুলিশ সদস্যরা বাইরে বেড়িয়ে এলে তাদের উপর মুহুর্মুহু ইট-পাটকেল, লাঠি-সোটা, হাতবোমা নিক্ষেপ করে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে পুনরায় ওই কেন্দ্রের দখল নেওয়ার চেষ্টা করেন ওই কর্মী-সমর্থকরা। এসব ঘটনার উস্কানি ও নেতৃত্ব দেন হোসেন্দী ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু।
পুলিশ বারবার তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৭৪ রাউন্ড রাবার বুলেট ও বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান মামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মামলার এজাহারে ১৭ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দেড়শ’ থেকে দুইশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মাসুম (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
www.bbcsangbad24.com