মে,২৯,২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে গৃহবধুকে মারধরের পর নিখোঁজের প্ররোচনা লম্পট স্বামী ইমরান হোসেনের। ঘটনাটি ঘটেছে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের যোগীনিঘাট (দক্ষিন ইসলামপুর) এলাকার মোঃ আব্দুল হাকিম বেপারী বাড়িতে।
অভিযোগের আলোকে জানাযায়,গত ১৯ মে ২০২৪ইং পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধু তানজিলা আক্তার (২০) কে বেদম প্রহার করে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন । অথচ ঐ গৃহবধু বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছে এমন অভিমত স্বামী ইমরান ও তার পরিবারের লোকজনের। ঘটনার সংবাদ পেয়ে সদর উপজেলার ভাষানচর (দক্ষিন কান্দি ) গ্রামের ইকবাল হোসেন ও তার স্ত্রীসহ ছুটে আছেন মেয়ের খোজঁ-খবর নিতে। এসে দেখেন মেয়ে তার স্বামীর বাড়িতে নেই। মেয়ে কোথায় জানতে চাইলে মেয়ের জামাই ইমরানসহ তার বাড়ির লোকজন তাদের উপর চড়াও হয়ে মারধরের উপক্রম হয়।
পরিশেষে মেয়েক দেখতে না পেয়ে বাবা ইকবাল ও তার স্ত্রী আশে পাশের মানুষের কাছে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে যে,ঘটনার দিন তানজিলাকে মারধর করেছে পর ধনলোভী পরিবার। কোন উপায় খোজে না পেয়ে ইকবাল হোসেন চলে যায় আইনী সহযোগিতার জন্য মুন্সীগঞ্জ থানায়। গিয়ে দেখেন থানা এক পুলিশ অফিসারের কক্ষে বসে আছে মেয়ের জামাতার বড় ভাই মাসুম বেপারীকে। তাকে দেখে চড়াও হয়ে যায় এবং থানা পুলিশকে বলে ওরা কোন অভিযোগ করলে আমলে না নিতে।
পরে ইকবাল হোসেন তার মেয়েকে ফিরে পেতে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলো ইমরান হোসেন (২৫) পিতা আব্দুল হাকিম,আব্দুল হাকিম (৬৫) রোজিনা আক্তার (৩০) পিতা আব্দুল হাকিম,মাসুদা বেগম (৫০) মাসুম (৩৫)সহ অজ্ঞাত আরো অনেকে। থানায় অভিযোগের আলোকে সদর থানার এস আই নাজমুল তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করার পরেও । ঘটনার ১০দিন অতিবাহিত হলেও আদৌও তানজিলার কোন খোজঁ-খবর পাওয়া যায়নি। এদিকে মেয়েকে খোঁজে না পেয়ে শোকের মাতুম তার পরিবারে।
প্রসঙ্গত : তানজিলা আক্তারকে ইমরানের সহিত বিবাহ দেন ১৩/১২/২০২১ইং সালে। বিয়ের সময় মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তানজিলার বাবা ইকবাল হোসেন সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণ ও নগদ প্রায় ৪ লক্ষাধিক টাকা দেন। এরপরেও পর ধনলোভী লম্পট স্বামী ইমরান ও তার পরিবার বারেং বার আরো মোটাঅংকের টাকার জন্য গৃহবধু তানজিলাকে চাপ সৃষ্টি করে। বাবার বাড়ি থেকে টাকা না এনে দিলেই তানজিলাকে মারধর করত। তানজিলার বাবার দাবী তার মেয়েকে মেরে লাশগুম করে এখন শুশুর বাড়ির লোকজন নিখোজের প্ররোচনা চালাচ্ছে।
অন্যদিকে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসি জানায় আব্দুল হাকিম পর ধনলোভী লোক সে তার বড় ছেলেকে অনেক বড়লোক এক পরিবারে বিয়ে করান মোটা অংকের টাকা যৌতুক নিয়ে। পরে বিয়ের কয়েকমাস যেতেই নানা কেলেঙ্কারী করে ছেলের বউয়ের নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যৌতুকের টাকা আত্মসা করে ফেলে। এটা তার অথ উপাজনের নতুন কৌশল।
ভুক্তভোগী বাবা ইকবান হোসেনের দাবী অবিলম্বে তার মেয়ে তানজিলাকে খোজে তার কাছে ফিরেয়ে দিতে উদ্দতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এবিষয়ে তদন্তকারী অফিসার উপ পরিদর্শক নাজমুল হাসান জানান,পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয় এর জের ধরে গৃহবধু তানজিলা বাড়ি থেকে রাগ করে চলে যায় বলে অভিযুক্ত পরিবার জানায়। দু পরিবারকে দ্বায়িত্ব দেওয়া মেয়েকে খোঁজে বের করতে। আমাদের পক্ষ থেকেও নিখুজ ব্যক্তি খোজার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
www.bbcsangbad24.com
