মুন্সীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতে বিস্তীর্ণ সবজি জমি প্লাবিত ! কৃষকের মাথায় হাত

Estimated read time 1 min read

১লা জুন,২০২৪

আবু হানিফ রানা:

মুন্সীগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতে বিস্তীর্ণ সবজি জমি প্লাবিত হয়েছে। এতে কৃষকের সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। সবজির জমিতে এখনো পানি থই থই করছে। এ সমস্ত জমির অপরিপক্ক সবজি তুলে অর্ধেক দামে বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন কৃষকরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী, মহাকালী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ কৃষিজমি এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে। এই দুটি ইউনিয়নে এই মৌসুমে করলা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল, লাউ, শসা, কুমড়া, ঝিঙা, বেগুনসহ অন্যান্য সবজি চাষ হয়েছে। আলু উত্তোলনের পর একই জমিতে কৃষকরা এ ধরনের সবজির চাষ করে থাকেন কৃষকরা। এই সবজিগুলো চাষের পর গাছগুলো একেকটা অনেক বড় হওয়ায় কৃষক জমির ওপরে মাচা তৈরি করেন। মাচার মধ্যেই এই সমস্ত সবজির গাছগুলো লতাপাতায় ছড়িয়ে পড়ে। আর এর মধ্যে ফসল উৎপাদন হয়। তাই স্থানীয় ভাষায় এই চাষাবাদকে লতা চাষও বলা হয়ে থাকে।

এ সমস্ত সবজির দানা কৃষক সাধারণত জমিতে রোপণ করে থাকেন। তাদের রোপণ করা সবজি গাছগুলো সবেমাত্র বড় হয়েছে। কৃষকরা মাচা তৈরি করে সবজি উত্তোলন শুরু করেছেন। এর মধ্যে বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে অধিকাংশ জমি। মাচা তৈরি করতে অনেক টাকার প্রয়োজন হওয়ায় ব্যয়বহুল এই চাষে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। কৃষকরা অপরিপক্ক সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে তুলে বিক্রি করতে শুরু করেছেন। এতে মুন্সীগঞ্জে ও তার আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সবজির সমরাহ ঘটায় দাম কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।


মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাজারের সবজির আড়তে গিয়ে দেখা যায়, ১৫ টাকা কেজি দরে করলা, জালি কুমড়া ও লাউ ১০-১২ টাকা এবং চিচিঙ্গা, বেগুন ও ধুন্দুল ৮-১০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে যা ঘূর্ণিঝড়ের আগে এর থেকে দ্বিগুণ দরে এসব সবজি বিক্রি হচ্ছিল।


সদর উপজেলার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলাপকালে তারা এতথ্য জানান।
কৃষকরা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতে সব ফসলী জমি তলিয়ে গিয়ে সেগুলো নষ্ট হয়ে গেল। আমাদের তো সব শেষ, আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি।

মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর সদর উপজেলায় ৭৮০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে রেমালের প্রভাবে ১২০ হেক্টর জমতে পানি জমেছে। এই জমিগুলো থেকে যদি দ্রুত পানি নেমে যায় তাহলে ক্ষতির পরিমাণ কম হবে। আর যদি পানি থেকে যায় তাহলে এই জমিগুলোর ফসল পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে। উপজেলার সাধারণত বজ্রযোগিনী মহাকালি ও রামপাল ইউনিয়নে বেশি সবজি চাষ হয়ে থাকে।

www.bbcsangbad24.com

আরও দেখুন আমাদের সাথে......

More From Author