মুন্সীগঞ্জে দৃঢ় হাতে উপজেলা সামলান ইউএনও আফিফা খান

Estimated read time 1 min read

আগস্ট,২১,২০২৪

আবু হানিফ রানা:


ক্ষমতার পালাবদলে সারা দেশ উত্তাল। সারাদেশের মতো উত্তাল ছিল মুন্সীগঞ্জের অন্যতম ব্যাবসায়িক উপজেলা হিসাবে স্বীকৃত সদর উপজেলা।

দীর্ঘদিন এর রাজনৈতিক একপক্ষীয় ক্ষমতায়নে হঠাৎ করে হাওয়া পাল্টে গেলে গা ঢাকা দেয় উপজেলার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে থানার কার্যক্রম।

দেশের এই পরিস্থিতিতে নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা দৃঢ় হাতে সামাল দিয়েছেন মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান । তিনি ৩৪তম বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া এই কর্মকর্তা গত ২০২৩ সালের আগস্ট মাসের ১৩ তারিখে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন।

গত ৫ তারিখ ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে এলাকা ছাড়েন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, মেয়রসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা। থানার অফিসার ইনচার্জ কেউ ছিলেন না থানায়। মূল ফটকে তালা ভেঙ্গে হামলা,অগ্নিসংযোগসহ থানার অস্ত্রসহ মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুস্কৃতিকারীরা। নিজেদের জিবন বাঁচাতে পালিয়ে যায় পুলিশ সদস্যরা।

সম্পূর্ণ অভিভাবকশূন্য উপজেলার সকল দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিয়ে জনমালের নিরাপত্তায় দৃঢ়তার সাথে কাজ করেছেন আফিফা খান।

৫ ও ৬ তারিখে কিছু কিছু জায়গায় দুর্বৃত্তরা কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে ও বিগত সরকারের কিছু নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটলেও সব রাজনৈতিক পক্ষকে নিয়ে বসে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তিনি।
সেই সাথে সারাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের গুজব ছড়ালে মুন্সীগঞ্জ সদরে যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তাই সকল ধর্মের নেতাদের নিয়ে সম্প্রতি বজায় রাখার জন্য মতবিনিময় করেন।

ব্যাবসায়িক নেতা ও বণিক সমিতির নেতাদের নিয়ে নিশ্চিত করেন মার্কেটগুলোর নিরাপত্তা ও স্বাভাবিক ব্যাবসায়িক কর্যক্রম।

শহরের বৃহত্তর ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের এই সময় আমাদের ব্যাবসা কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে। সেই সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র ছাত্রীদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়ন এ সহযোগিতা করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খানের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলাবাসী সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-ছাত্রীরা জানান, ইউএনও আফিফা মেডাম আমাদের শহর পরিষ্কার, ডাস্টবিন স্থাপন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, গ্রাফিতি অঙ্কনসহ সকল কাজের উৎসাহ প্রদান করেছেন এবং আমাদের আগামী দিনের কার্যক্রমের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খানের এই কার্যক্রম এ উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ ছিল লক্ষণীয়।

ইউএনও আফিফা খান ৩৪তম বিসিএসের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
www.bbcsangbad24.com

আরও দেখুন আমাদের সাথে......

More From Author