ডিসেম্বর,১১,২০২৩
মুকবুল হোসেন:
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুন্সিগঞ্জ ৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১০, মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে বৈধ প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে চলছে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের দল, অর্থনৈতিক অবস্থা, দলের পদবী, প্রার্থীর পক্ষে সাংগঠনিক সমর্থন, দলমত নির্বিশেষে প্রার্থীর যোগ্যতা নিয়ে আলাপ-আলোচনা । জেলা নির্বাচন অফিস কার্যালয় সুত্রে জানা যায় সরকারদলীয় মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী, জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কা প্রতীক প্রার্থী , একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী, বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন, ইসলামিক ঐক্য ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামিক বাংলাদেশ ফ্রন্ট , বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, জাকের পার্টি, মনোনীত প্রার্থী সহ মোট ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছে। নির্বাচনী অনুসন্ধানে সরকারদলীয় প্রতীক নৌকা প্রার্থী দুই বারের নির্বাচিত এমপি এডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এবং একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে মুন্সীগঞ্জ সদর মেয়র হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এ এফ এম রফিকুল্লাহ সেলিম সহ অন্যান্য প্রার্থীদের দলীয় ও গ্রুপ ভিত্তিক নেতা কর্মীদের সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের ভোটের মতামত প্রকাশের জানা যায় ।
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক নেতাকর্মী , বিএনপি’র শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মী, জাতীয় পার্টির একাংশের শীর্ষ একাধিক নেতাকর্মী এবং নানা শ্রেণী ও পেশার সাধারণ মানুষের ধারণা প্রভাব মুক্ত, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু নির্বাচন পরিবেশ বজায় থাকলে , অতীতের নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়লাভ প্রার্থীর ভোট নেয়া কঠিন। আওয়ামী লীগ , বিএনপি ও জাতীয় পার্টির একশ্রেণীর লোকের ধারণা নির্বাচন পরবর্তী এবং নির্বাচন পরিবেশ পর্যালোচনায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থন ও জনপ্রিয়তা দিন দিন বেশি হতে যাচ্ছে। প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ার পর থেকে নানা পরিবেশ , নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষসহ বিভিন্ন দল ভুক্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে নিজ নিজ দলের প্রার্থীর পক্ষে মসজিদে বিশেষ দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন প্রত্যাশা ও জয়লাভ প্রচারণা সহ নানামুখী নির্বাচনী কার্যক্রম দিন দিন গতিশীলতা পাচ্ছে। পছন্দের প্রার্থীর গ্রহণযোগ্যতা ও ভোট সমর্থন আদায়ে চলছে আলাপ-আলোচনা ও ভোট পরিবেশ নিয়ে নানা গুঞ্জন ।
জাতীয় পার্টির একাধিক শীর্ষ নেতা জানান অতীতে একাধিক ভার নির্বাচনে মানুষ ভোট দেয়া অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল । বর্তমান সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে । আওয়ামী লীগের বৃহত্তম অংশ সহ সাধারণ মানুষের ভোট জাতীয় পার্টির প্রার্থীর দিকে ছুটবে । নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টি প্রার্থীর লড়াই হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা জানান নির্বাচন যত এগিয়ে আসবে প্রার্থীদের সমর্থন দিন দিন পরিবর্তন ও হয়ে নতুন অবস্থান সৃষ্টি হবে । প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর নির্বাচনের ২-১ দিন আগে সুস্পষ্ট এবং সঠিক নির্বাচনী প্রকাশ পাবে। নির্বাচন লড়াই পূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সন্দেহ নেই। আওয়ামী লীগ-বিএনপি এবং নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষের প্রত্যাশা । দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির প্রতিদ্বন্দ্বী লড়াই ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে। কোন প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে প্রশাসন কাজ করবে না। সংবিধান অনুযায়ী সঠিক দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে প্রশাসন।
www.bbcsangbad24.com