সেপ্টেম্বর ১৪,২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান জানিয়েছেন, দেশের সব পোশাক কারখানা রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে খোলা থাকবে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিজিএমইএ ভবনে তৈরি পোশাক কারখানায় চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
শিল্প উপদেষ্টা বলেন, কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে বিশেষ ব্যবস্থা নেবে সরকার। দেশের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কেউ যদি কারখানা বন্ধ রাখার অপচেষ্টা করেন, সেটাও মনে রাখা হবে।
তিনি আরও বলেন, পোশাক শিল্পে অস্থিরতা মালিক শ্রমিক কারোই কাম্য নয়। পোশাক শিল্পে সংঘাতময় পরিস্থিতির সুযোগ নেবে তৃতীয় পক্ষ। এতে মালিক শ্রমিক কারোরই লাভ হবে না।
বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করেন বলেন, “সরকার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়ায় আগামীকাল সব পোশাক কারখানা খোলা থাকবে। তবে কোনো কারখানায় অস্থিরতা তৈরি হলে আগামী পরশু দিন থেকে সেই কারখানা শ্রম আইনের ১৩/১ ধারা (কাজ নেই, বেতন নেই) অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে।”
শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, “দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি হওয়ায় অনেকের মতো শ্রমিকেরাও নিজেদের কথা বলছেন। শ্রমিকদের অভিযোগ সমাধানে শ্রমসংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সব অভিযোগ ও দাবি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তবে শ্রমিকের আন্দোলনে একদমই যে ষড়যন্ত্র নেই, এমনও নয়।”
শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, “ইতোমধ্যে শ্রমিকদের জন্য কোন প্রক্রিয়ায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা যায়, সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। এ ছাড়া গত বছরের শেষ দিকে শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনের সময় যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলো প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।”
তবে এই সব প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে যারা অস্থিরতা করবে, তাদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, “এ ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে না।”
এ সময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ছাড়া পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারাসহ শ্রমিক নেতারা।
www.bbcsangbad24.com