মার্চ,১৫,২০২২
কুমিল্লা প্রতিনিধি:
নিজগৃহে আগুনে পুড়ে মারা গেলেন ইয়াসমিন (২১) নামের এক নববধু। এঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার (১১ মার্চ) ভোর রাতে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের ঢেউয়াতলী গ্রামে। এঘটনায় পুলিশ ও ফায়ার ডিফেন্স এর ধারনাকে পাল্টে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে অপমৃত্যুর অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নিহতের স্বজনদের দাবী
বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত ককর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার ও বরুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ কিংবা এর আগে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে ঘরে আগুন লাগার পর গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফারণ হতে পারে।
কিন্তু নিহত ইয়াসমিনের ছোট ভাই রাবিক বরুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, গ্যাস সেলেন্ডার বিস্ফোরন এ আগুনের সূত্রপাত একথা সত্য নয় বরং এটি সাজানো । হত্যা করে ঘরের মধ্য লাশ ফেলে রেখে নিজ ঘরে আগুন দিয়ে স্বামী রেজাউল করিম ঘটনা এড়াতে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশ দিচ্ছে। মূলত: ইয়াসমিনকে হত্যা করা হয়েছে এমন দাবী তাদের।
নিহত ইয়াসমিন চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিন উপজেলার উত্তর উপাদী ইউনিয়নের ডিঙ্গাভাঙ্গা গ্রামের মৃত আক্তার মুন্সির ছোট মেয়ে। গত একমাস আগে প্রেমের সুবাধে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের বিষয়টি স্বামীর পরিবারের লোকজন মেনে নিতে না পেরেই তাকে পরিকল্পিতভাবে তাকে মেরে ঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ ইয়াসমিনের পরিবারের।
এদিকে ইয়াসমিনের স্বামী রেজাউল করিম বলেন,আমি মসজিদে ফজরের নামাজ পড়তে বের হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ বিস্ফোরণ হয়ে ঘরে আগুন ধরে পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘরের মধ্যে ঘুমিয়ে থাকা ইয়াসমিন পুড়ে কয়লা হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন এগিয়ে এলেও আগুন নেভাতে পারেনি। ৯৯৯-এ খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে বরুড়া থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। আগুনের খবর পেয়ে যখন বাড়ি আসি ততক্ষণে আমার স্ত্রীসহ সব শেষ হয়ে গেছে।
বরুড়া থানার ওসি ইকবাল বাহার মজুমদার বলেন, ঘরে আগুন ও বিস্ফোরণের কারণ ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় আমরা তদন্ত করছি। মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
নিহত ইয়াসমিনের পরিবারের দাবী অবিলম্বে এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোউক।
www.bbcsangbad24.com