সরকারি ওয়েবসাইটে দশ দিনে ৫০ হাজার বার সাইবার হামলা: পলক

Estimated read time 1 min read

জুলাই ৩০,২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট দখলে নিতে গত ১০ দিনে ৫০ হাজারেরও বেশি বার সাইবার হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে ‘চলমান সময়ে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক জরুরি সভা’ শেষে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) সম্মেলনকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের হাতে এখন পর্যন্ত যে তথ্য আছে, তাতে গত ১০ দিনে ৫০ হাজারের বেশি বার সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। তাতে আমাদের ৮টি সরকারি ওয়েবসাইট ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে হ্যাকাররা। কোনো ওয়েবসাইট পুরোপুরি হ্যাকড হয়নি। সরকারি কোনো ওয়েবসাইট থেকে তথ্য-উপাত্ত চুরির কোনো ঘটনা ঘটেনি।’

তিনি বলেন, ‘ডিএনএস সিস্টেম যেটাকে আমরা বলি, সেটা যখন ডাইভার্ট করে যখন কেউ কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে গেছেন, তখন তাকে সেখান থেকে অন্য একটা ওয়েবসাইটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে নেওয়ার পর ব্যবহারকারীকে শুধু ফ্রন্ট পেজটা দেখানো হয়েছে যে, এই ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছে।’

গত ২২ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাক হয়েছিল- এমন তথ্য সঠিক নয় দাবি করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর আমরা পর্যালোচনা ও অনুসন্ধান করে দেখেছি, বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়নি। তাদের নিয়মিত লেনদেন ও সব কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চলেছে। যে সমস্যাটুকু হয়েছিল, সেটা আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি, সমাধানও করেছি। বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি, এটা অতি গোপনীয়। এজন্য এটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাইবার হামলা বেড়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সাইবার হামলা প্রতিনিয়তই হয়। হামলাকারীরা প্রতিনিয়তই জাতীয় নিরাপত্তার আওতায় থাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করার চেষ্টা করে থাকে। তারা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও হামলা চালায়, সেখান থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার জন্য। তবে হ্যাঁ, সম্প্রতি আন্দোলনের মধ্যে সাইবার হামলা কিছুটা বেড়েছে, এটাও সত্য।’

এর আগে দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত সাইবার নিরাপত্তা সভায় উপস্থিত ছিলেন টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি ইমদাদুল হক, জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ ব্যাংক, সিভিল অ্যাভিয়েশন, পুলিশ, ডিজিএফআই ও এনএসআই-এর প্রতিনিধিরা।

www.bbcsangbad24.com

আরও দেখুন আমাদের সাথে......

More From Author