উপজেলা নির্বাচন ভাবনা

Estimated read time 1 min read

টংগিবাড়ীর সাধারন জনগন কাজী ওয়াহিদের সমর্থনে ঐক্যবদ্ধ। ১৭% ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হবেন কাজী ওয়াহিদ

মে,১৯,২০২৪

আবু হানিফ রানা:

আগামী একুশ মে মংগলবার টংগিবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ সহ ছয়জন এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে মানুষের ভাবনা জানতে গত দুইদিন টংগিবাড়ী উপজেলার তেরটি ইউনিয়নের পয়ষট্টিটি স্পটে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সাথে কথা বলেছেন আমাদের সহ চারটি পত্রিকার প্রতিবেদকরা । অধিকাংশ সাধারণ মানুষ আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদের পক্ষে নিজেদের সমর্থন জানিয়েছেন। এই জনমত জরিপের ভিত্তিতে বলা যায় আগামীকালের নির্বাচনে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১৭% ভোট বেশি পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ বিজয়ী হবেন। অর্থাৎ এক লক্ষ ভোট কাস্ট হলে কাজী ওয়াহিদ সতের হাজার ভোট বেশি পেয়ে জিতবেন। তার নির্বাচনী ইশতেহার, বিশেষ করে মিরকাদিম টংগিবাড়ী হাসাইল খালের মুখ খুলে দেওয়া, আর্সেনিকমুক্ত টিউবওয়েল, সোলার লাইট স্থাপনের মত প্রতিশ্রুতিগুলো মানুষ গ্রহণ করছেন।

সাধারন মানুষ মনে করেন উপজেলা পরিষদ চালানোর মত যোগ্য, মেধাবী, অভিজ্ঞ ও অভিভাবক সুলভ নেতা একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ। জনগণ ও সরকারি কর্মকর্তা, কর্মচারীদের মধ্যে সমন্বয় করে একটি উপজেলা পরিষদ পরিচালনা করার মতো গ্রহনযোগ্য ব্যক্তিত্ব এই মূহুর্তে একমাত্র কাজী ওয়াহিদ।
বেশির ভাগ মানুষ বলেন, “আর কাউরে পরীক্ষা করার জন্য সুযোগ দিয়া ঠকতে চাই না। কাজী ওয়াহিদ পরীক্ষিত। তাকে সারা বছর পাওয়া যায়। সে স্থায়ীভাবে টংগিবাড়ীতে পৈত্রিক বাড়িতে বসবাস করেন।তার সাথে সব সময় কথা বলা যায়। সকলের মোবাইল ফোন ধরেন অথবা পরে কল ব্যাক করেন।তার কাছে গিয়ে কেউ খালি মুখে বা খালি হাতে ফিরে আসেন না। তার কাছে কাউকে ধরে যেতে হয় না। তার দরজা সকলের জন্য সকল সময়ে খোলা। আমরা এমন নেতা চাই।”

অনেক জায়গায় একটা কম্বল আনতে গেলে ধাক্কা, ধমক খেতে হয়। আর বছরের পর বছর ধরে নিজ বাড়ীতে দাওয়াত করে নিয়ে নিজ হাতে বিয়া বাড়ীর মতো খাওয়াইয়া লেপ দেয়, আমরা এমন মানুষরেই ভোট দিমু বলে জানালেন কেউ কেউ। বাঘিয়া বাজারের এক বৃদ্ধ, ভিটিমালধা গ্রামের এক বৃদ্ধা জানালেন তারা কাজী ওয়াহিদের বাড়ী যেয়ে চোখের ছানি কাটিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষ তার বাড়ীতে যেয়ে ছানি কাটান। রোগীদের বাপ, মা বইলা ডাকেন। নিজের হাতে আপ্যায়ন করেন। নিজের লোক দিয়ে গাড়ী ভাড়া করে হাসপাতালে নিয়া ছানি অপারেশন করান।আমরা এমন মানুষকেই নেতা নির্বাচন করব।

কামারখাড়া বাজারে এক মহিলা বলেন, আমার স্বামী মালয়েশিয়া থাকেন। করোনার সময় উপার্জন ছিল না। কাজী ওয়াহিদকে ম্যাসেন্জারে ম্যাসেজ দিয়া সহযোগিতা চাইছিল। কাজী ওয়াহিদ আমার বাড়ীতে লোক দিয়ে চাল, ডালসহ বাজার করে পাঠিয়েছিলেন। করোনার দুই বছর সব সময়ে গ্রামে থেকে শতশত পরিবারকে কাজী ওয়াহিদ সহযোগিতা করেছেন। আমরা তাকে চাই। উত্তর কুরমিরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক মা বলেন, কাজী ওয়াহিদ আমাদের স্কুলের ভবন অনুমোদন করে এনেছিলেন। তিনি আমাদের স্কুলে বেঞ্চ, ফ্যান ও অভিভাবকদের বসার চেয়ার দিয়েছিলেন। ছেলে মেয়েদের নিয়ে টংগিবাড়ী বা সোনারং কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে কাজী ওয়াহিদ আমাদের জন্য বসার ব্যবস্থা করেন, কফি পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করেন। একটা ভোটইতো। আমরা তাকেই দিব।

দক্ষিণ বেতকা হালদার বাড়ী মোড়ে এক বয়স্ক লোক বলেন, এই প্রাইমারি স্কুল সরকারি করতে ও স্কুলের নতুন বিল্ডিং আনতে কাজী ওয়াহিদ অনেক সহযোগিতা করেছেন। তাকে ডাকলেই পাওয়া যায়। এমন লোক জিতলেই ভালো।

৪০ তম বিসিএস এ চাকুরি পাওয়া টংগিবাড়ীর এক কৃতি সন্তান বলেন এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ৫ পাওয়ায় কাজী ওয়াহিদ স্যার আমাদের কক্সবাজার বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন। বহ বছর ধরে তিনি এটা করে আসছেন। মেধাবী ছাত্রদের বাড়িতে ফুল, পিঠা নিয়ে সশরীরে চলে যান কাজী ওয়াহিদ। টংগিবাড়ীর শিক্ষার উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য আমরা কাজী ওয়াহিদকে চাই।


সেরাজাবাদ রানা শফিউল্লাহ কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, জীবনের প্রথম বৃত্তি কাজী ওয়াহিদ আংকেলের কাছ থেকে পেয়েছি। তিনি ক্লাশ ফোরে বৃত্তি দেন। আমাদের মতো ৪/৫ জন ছোট মানুষ দেখলেও তিনি গাড়ী থেকে নামেন, চকলেট দেন, আদর করেন। আমরা তরুণরা কাজী ওয়াহিদ আংকেলকেই ভোট দিব ইনশল্লাহ।

কাঠাদিয়ার এক ইমাম বলেন, আগের দুই মেয়াদে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে কাজী ওয়াহিদ যে সরকারী ভাতা পেতেন, নিজে না নিয়ে আমাদেরকে হাদিয়া দিতেন। টাকা বড় বিষয় না। উনি আলেম ওলামাদের সম্মান করেন। পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। উনার দ্বারা যেহেতু মানুষ উপকৃত হন, আল্লাহ উনাকে চেয়ারম্যান হিসাবে কবুল করুন।

পাইকপাড়ার এক শিক্ষক বলেন, কাজী ওয়াহিদ আমার ব্যাচমেট। তাছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে উনি আমাদের বস। তারপরেও উনি আমাদের স্যার সম্বোধন করে কথা বলেন। উনি খুবই শিক্ষা বান্ধব রাজনীতিবিদ। টংগিবাড়ীতে উনার মতো জনপ্রতিনিধির দরকার আছে।

নেত্রাবতির এক মা বলেন মেম্বার চেয়ারম্যানদের খুজে তাদের কাছে যেয়ে সেবা চাইতে হয়। আর কাজী ওয়াহিদ স্কুলে স্কুলে এসে আমাদের কাছে জানতে চাইতেন, কি সেবা চাই। আমরা যা চেয়েছিলাম সব উনি করে দিয়েছিলেন।
উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা বলেন, কাজী ওয়াহিদ স্যারের সময়ে টংগিবাড়ী উপজেলা সবচেয়ে বেশী বরাদ্ধ পেয়েছে, বেশি কাজ হয়েছে। জাপানি বিশেষজ্ঞরা সরেজমিনে এসে তদন্ত করে তাকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নম্বর দিয়েছিল এবং টংগিবাড়ীর জন্য জাইকার মাধ্যমে অনেক বরাদ্ধ দিয়েছিল।


বাঘিয়া বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, কাজী ওয়াহিদ কারো জমি দখল করেন নাই, কারো লিজের দোকানের দিকে কুদৃষ্টি দেন নাই, বিচার করে টাকা খান নাই। তার কাছে মানুষ নিরাপদ।
নয়ানন্দ গ্রামের এক কৃষক বলেন, কাজী ওয়াহিদ আমাকে টিউবওয়েলের বরাদ্ধ দিয়েছিলেন। তখন সাত হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছিল। গত নির্বাচনে কিছু লোক বুঝিয়েছিল, সরকারী কলে আবার টাকা লাগবে কেন? আমরা পরে জেনেছি, সরকারী কলের জন্য টাকা জমা দিতে হয়। আগে সাত হাজার টাকা দিতে হইত এখন দশ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। কাজী ওয়াহিদ অনেক কল আইনা দিছিল। আমরা চাই সে আবার আসুক।

ভিটি মালধার এক অটো চালক বলেন, প্যাসেন্জার নিয়ে কাজী ওয়াহিদের বাড়ী গেলে সম্মানের সাথে বসাইয়া আপ্যায়ন করে। রাস্তা ঘাটে দেখা হইলে পাশে বসাইয়া চা খাওয়ান। গতবার উনার সম্পর্কে মিথ্যা কথা রটাইছিল।এইবার আর মিথ্যা কথা বিশ্বাস করব না। ভোট কাজী ওয়াহিদকেই দিব, উনিই যোগ্য।
পাচগাও বাজারের এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, কাজী ওয়াহিদ আমাদের মাছ বাজার আধুনিক করে দিয়েছেন। তিনি কয়দিন পর পর আইসা আমাদের সাথে দেখা করেন। এমন তো আর কাউকে পাইনা। আড়িয়ল বাজারের মাছ বিক্রতা বলেন, কাজী ওয়াহিদ এই মাছ বাজারের চাল বসিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর আর কেউ কিছু করে নাই। সাড়ে তিন বছর তিনি ছিলেন না, তখন আমরা বৃষ্টিতে ভিজেছি। এবার দায়িত্ব পেয়ে তিনি আবার আমাদের মাছ বাজার সুন্দর করে দিয়েছেন। আমরা তাকেই চাই।


দিঘিরপাড় রজতরেখা আইডিয়াল স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন কাজী ওয়াহিদ ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বাড়িতে স্যুইমিং পুল, পার্ক, বাগান করেছেন। সেখানে সকল ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা সফরে যেয়ে কাজী ওয়াহিদ আপ্যায়ন গ্রহণ করে। এমন শিক্ষা বান্ধব নেতা টংগিবাড়ীতে আর নাই। আমরা তাকেই চাই।

www.bbcsangbad24.com

আরও দেখুন আমাদের সাথে......

More From Author