মার্চ,২২,২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের নৈপুকুরপাড় গ্রামের মৃত কেরামত আলী ছৈয়ালের ছেলে মোঃ আব্দুল মোতালেব ছৈয়াল তার বাড়িতে ৩য় তলা ফাউন্ডেশন নিয়ে ভবনের কাজ শুরু করেন আর তাহার জায়গার উপর দিয়ে প্রবাহিত পল্লী বিদ্যুতের তার। যার কারণে একতলা ছাদ তৈরীর পর বাকি কাজ করা সম্ভব না হওয়ায় আব্দুল মোতালেব মুন্সীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জিএম বরাবর,একটি আবেদন করেন উক্ত বিদ্যুৎ লাইনটি সরিয়ে অন্যদিকে দেওয়ার জন্য।
আর আবেদনের ভিত্তিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লোকজন উক্ত লাইনটি সরিয়ে নিতে পাশে থাকা সরকারী রাস্তার পাশে বিদ্যুতিক পিলার স্থাপন করেন। পরবর্তিতে মোতালেব ছৈয়ালের পাশের বাড়ির মৃত কাজিম উদ্দিন ছৈয়ালের ছেলে বাহাউদ্দিন ছৈয়াল উক্ত কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে যার কাজ বন্ধ রেখে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি ।আর এদিকে মোতালেব ছৈয়াল অভিযোগ করে বলেন,বাহাউদ্দিন এর সাথে আমাদের দীর্ঘ বছর যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে যার জের ধরে সে আমার কাজে বাঁধা দিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মোতালেব ছৈয়ালের ভবনের একতলা ছাদ কমপ্লিট হয়েছে এবং ছাঁদ থেকে কয়েক ফুট উপরে কারেন্টের তার ঝুলছে। এতে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য মোতালেব ছৈয়াল তার কাজ বন্ধ রেখে বিদ্যুতের তার সরানোর জন্য পল্লি বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের দ্বারে দ্বরে ঘুরছে। পল্লিবিদ্যুতের কয়েকটি খুটি বসানো রয়েছে শুধু মাত্র লাইন টানলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় আর ঝুঁকি থেকে বে^চে যায় মোতালেবসহ আশে পাশের লোকজন।
অন্যদিকে বাহাউদ্দিন ছৈয়াল মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আর সেই অভিযোগের আলোকে সরেজমিনে তদন্তে যায় অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার এস আই সজল। তিনিও সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা দেখে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,উক্ত বিদ্যুতের তার না সরালে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির লোকজন এগিয়ে আসলেই এই কাজের সমাধান সম্ভব।
এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন,আবেদনটির ব্যাপারে আমার জানা নেই আমি খোঁজখবর নিচ্ছি এবং আবেদনের আলোকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
www.bbcsangbad24.com