নিজস্ব প্রতিবেদক
আবু হানিফ রানা:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে একদফা দাবীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে। ক্লান্তিময় দেশে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় ও দেশে অন্তবর্তীকালিন সরকার পুরোপুরি দ্বায়িত্বভার না নেওয়া পর্যন্ত জনগনের জানমালের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে লক্ষ ছাত্র-জনতার তাজা প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশ ২য় স্বধীনতা। তারা বাঙ্গালীকে এনে দিয়েছে এক নতুন স্বাধীনতা। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের দিক-নিদেৃশনায় ৬ আগস্ট থেকে জনগনের সেবায় সারাদেশের ন্যায় মুন্সীগঞ্জের প্রতিটি সড়কে যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষর্থীরা। এতে জেলা শহরের প্রতিটি সড়কে যান চলাচলে শৃংখলা ফিরে এসেছে।
বুধবার ৭ আগস্ট সরেজনি দেখাযায়,মুন্সীগঞ্জ পৌরসভা মোড়,সুপার মার্কেট চত্তর,মুক্তারপুর পাম্পের মোড়,সিপাহীপাড়াসহ প্রতিটি পয়েন্টে ছাত্র সংগঠন ট্রাফিক পুলিশের দ্বায়িত্ব পালন করছেন। পাশা পাশি তারা পথচারী ও ক্লান্ত বিভিন্ন অটো রিক্সা চালকদের পানির বোতল দিয়ে সেবা দিচ্ছে তাদের নিজ উদ্দ্যগে । আর তাদের এধরনের সেবা পেয়ে বেজায় খুশি পথচারী ও পরিবহন চালকরা।
এবিষয়ে গাড়ি চালকদের সাথে আলাপকালে তারা বলেন, আজ থেকে মনে হয় আমরা একটি স্বাধীন দেশে বসবাস করছি। কেননা আগে রাস্তায় গাড়ি নিয়ে নামলেই লাইনম্যানকে টাকা দিতে হতো,পুলিশকে প্রতি মাসে মাসিক চাঁদা দিতে হতো। এখন আমরা নিরিবিলি মনের সুখে গাড়ি চালাতে পারছি। আমরা এদেশের নতুন সূর্য সন্তানদের স্যলুট জানাই।
www.bbcsangbad24.com