জুন,০৯,২০২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে গৃহবধুকে মারধরের পর নিখোঁজের প্ররোচনা লম্পট স্বামী ইমরান হোসেন। আর এই সংবাদ প্রকাশ হয় দৈনিক বানীতে। ঘটনাটি ঘটেছিলো মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের যোগীনিঘাট (দক্ষিন ইসলামপুর) এলাকার মোঃ আব্দুল হাকিম বেপারীর বাড়িতে। গত ১৯ মে ২০২৪ইং পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধু তানজিলা আক্তার (২০) কে বেদম প্রহার করে তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন । অথচ ঐ গৃহবধু বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছে এমন অভিমত স্বামী ইমরান ও তার পরিবারের লোকজনের। মেয়েকে শুশুর বাড়িতে দেখতে না পেয়ে মুন্সীগঞ্জ থানায় নিখোঁজ ডাইরী করেন গৃহবধু তানজিলার বাবা ইকবাল হোসেন।
এঘটনায় থানায় নিখোঁজ ডাইরীর আলোকে বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক জনবানী পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর ঢাকার সাভার এলাকা থেকে নিখোঁজ গৃহবধু তানজিলাকে খোঁেজ পায় তার বাবা অভিযোগকারী ইকবাল হোসেন বেপারী। মেয়েকে ফিরে পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বহুল প্রচারিত জাতীয় জনবানী পত্রিকার প্রতি । তিনি বলেন,এই পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করায় আমার মেয়েকে খোজে পেতে সহজ হয়েছে,আমি তাদের প্রতি অনেক অনেক কৃতজ্ঞ।
এদিকে উদ্বার হওয়া গৃহবধু তানজিলা আক্তার বলেন,আমার বিয়ের পর থেকে আমার স্বামী ইমরান ও তার পরিবার শারিরিক-মানসিক নির্যাতন করত।
ঘটনার দিন আমাকে আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বেদম প্রহার করে। আমার জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। জ্ঞান ফেরার পর শুনতে পাই যে তারা আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে। একথা শুনে আমি কোন রকমে নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য পালিয়ে যাই। চন্দ্রপুরী দরবার শরীফে আশ্রয় নেই। সেখানে থাকা অবস্থায় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এক জাকের বোন্ আমাকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। ঢাকা সাভার তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং আমার বাবা মাকে সংবাদ দেয়।
আমার বাবা সেখান থেকে আমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এখন আমি বাবার আশ্রয়ে আছি। আদৌও আমার স্বামীর বাড়ি থেকে কেউ কোন খোঁজ-খবর নেয়নি আমার। আমি এ অত্যাচরী পরিবারের উপযুক্ত শাস্তি দাবী করছি উদ্বর্তন প্রশাসনের কাছে।
www.bbcsangbad24.com